Home / Articles
উনিশ শতকের সূচনাকালে বাংলার সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর অবস্থান ও মর্যাদা |
![]() |
Author Name সওকত আলি সা, গবেষক, ডক্টর তনুশ্রী ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, সি. এম. জে. বিশ্ববিদ্যালয় Abstract উনিশ শতকের শুরুতে সমাজের অবস্থা মোটামুটিভাবে মধ্যযুগীয় সমাজব্যবস্থারই অনুরূপ ছিল। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিপুল সম্ভাবে তৎকালীন সমাজের যে চিত্র পাওয়া যায় তা বিশেষ আহ্লাদজনক নয়। একদিকে ধনীর বিলাসিতা, পায়রা ওড়ানো, ভোগ ব্যসনের বর্ণময় চিত্র ধনপতি, চাঁদ সদাগর এদের বর্ণনায়। অপরদিকে অপরিসীম দারিদ্র্য ও ক্ষুধাকে সঙ্গী করে জীবনধারণ করে সাধারণ মানুষ। ব্যাধ কালকেতুর কাহিনীতে রয়েছে তারই পরিচয়। ধনীগৃহের কন্যা সন্তানেরা বিবাহপূর্বকালে কিছু লেখাপড়া পিতৃভবনে শিখলেও স্ত্রী শিক্ষার সার্বিক প্রচলন ছিল না বললেই হয়। তারই ফলস্বরূপ সাহিত্যের নারীচরিত্রগুলিরও নৈতিক অবনমন ঘটেছে। স্বামীর জাল চিঠি দেখিয়ে খুলনাকে অত্যাচার করতে লহনার তাই বিবেকে বাধে না। ধনীগৃহের ঘরণীদের মধ্যে কোন্দল বাধানো বা বাজারের অর্থ থেকে কিছু চুরি করাই তাই দুর্বলা দাসীর জীবনের চূড়ান্ত মোক্ষ। তা ছাড়া অশিক্ষার জন্যই রয়েছে কুসংস্কার দীর্ণ মানসিকতা। সতীনের ঘরে বিবাহের পর মেয়ের সুখ সৌভাগ্যকে সুরক্ষিত করতে অথবা বিগতযৌবনার পতিকে অঞ্চলবদ্ধ করতে তুকতাক ঝাড়ফুঁকের উপর অগাধ বিশ্বাস মধ্যযুগীয় নারীকে অবশ্যই মহীয়সী করে তোলে নি। ধনপতির প্রৌঢ় বয়সে দ্বিতীয় বিবাহ কেবল মধ্যযুগীয় ঘটনা নয়, উচ্চবিংশ শতকেও এর অজস্র উদাহরণ আছে। শ্রীমন্তের দুই বিবাহেও কোন ন্যায় বোধের প্রশ্ন জাগেনি, বরং কাহিনীর মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটেছে।
Published On : 2020-12-31 Article Download : ![]() |